এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :::
চকরিয়ায় বন্ধুর কাছে ধার দেয়া পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় উপজেলা ওলামালীগের সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মৌলানা কাউছারকে (৩৫) কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। কাউচার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের ছড়ারকুল এলাকার মৌলানা নুরুজ্জমানের পুত্র। আহত কাউচারকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কস্থ ফাঁসিয়াখালী ছড়ারকুল ষ্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়া জানান,চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কস্থ লাগোয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের ছড়ারকুল ষ্টেশন এলাকায় বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হাফেজ মৌলানা কাউচারের সাথে স্থানীয় আশরাফ মিয়ার পুত্র মৌলানা ছলিম উল্লাহর সাথে ধার দেওয়া দেড়লক্ষ টাকা নিয়ে তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে ছলিম উল্লাহর সহযোগী ভাড়াটিয়া মো.বশির ধারালো অস্ত্রদিয়ে পেছন থেকে হাফেজ কাউছারকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে মাটিতে ফেলে রেখে দুবৃর্ত্তরা চলে যায়।
ঘটনার খবর পেয়ে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবচারসহ স্থানীয় এলাকাবাসী ঘটনাস্থল থেকে আহত ব্যাক্তিকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত ওলামালীগের সম্পাদক কাউচারের স্ত্রী জানান, ছড়ারকুল এলাকার আশরাফ মিয়ার পুত্র ছলিম উল্লাহর সাথে আমার স্বামী হাফেজ কাউচারের ঘনিষ্ট বন্ধুত্বের সুবাদে মৌখিক ভাবে দেড়লক্ষ টাকা ধার দেন। উক্ত টাকা থেকে ছলিম উল্লাহ নব্বই হাজার টাকা সম্প্রতি পরিশোধ করেন।অবশিষ্ট ষাট হাজার টাকা ফেরত দেয়ার বিষয় নিয়ে ছড়ারকুল ষ্টেশনে তর্কাতর্কি হয়। এসময় হঠাৎ ছলিমের সহযোগী বশির পেছন থেকে এসে ধারালে দা দিয়ে মাথায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ঘটনার বিষয়ে কেউ আমাকে জানায়নি। লিখিত অভিযোগ দেয়া হলে অভিযুক্ত ব্যাক্তির বিরুদ্ধে আইগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।###
পাঠকের মতামত: